বাংলায় প্রযুক্তি নির্ভর সকল ধরনের খবরাখবর এবং তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং সাথে থাকুন ।

আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি তোমরা নিশ্চয়ই আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্বন্ধে জানতে এসেছো। এই পোস্টে আমি তোমাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্বন্ধে কিছু কথা বলব। আমাশয় রোগের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আমি এই পোস্টে আপনাদের আমাশয় রোগের  ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে চলেছি। আপনি যদি আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে চান এই পোস্টটি পুরোটা পড়ুন।

আমাশয় রোগ, আমাশয় রোগের লক্ষণ, আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা, আমাশয় রোগের প্রতিকার, আমাশয় রোগের দোয়া, আমাশয় রোগের ঔষধের নাম, আমাশয় রোগের খাবার, আমাশয় রোগীর খাদ্য তালিকা, আমাশয় রোগের ট্যাবলেট, আমাশয় রোগের কারণ ও প্রতিকার
আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার


আপনি যদি জানতে চান আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্বন্ধে, এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

ভুমিকাঃ আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখান থেকে আপনি ঘরোয়া ভাবে কিভাবে আমাশয় রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এটি যখন একজন সাধারন মানুষ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে তাহলে আপনি কিভাবে মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাবেন? এটি একটি ভয়াবহ রোগের মধ্যে অন্যতম একটি। চলুন এই সম্বন্ধে জেনে নিন। এছাড়া আমাদের এই পোস্টটিতে আমাশা রোগের লক্ষণ, কি কি খেলে আমাশয় রোগ ভালো হবে তা এই পোস্টটিতে বিস্তারিত জানানো হবে।

আমাশয় রোগের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করছি। আপনারা যারা আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তার আগে চলুন আমাশয় রোগের লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক। নিচে আমাশা রোগের লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।

১। আমাশয় রোগের কারণ হচ্ছে শরীরে স্বাস্থ্যবিধি দুর্বল হয়ে পড়বে।

২। এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ বলা যায়।

৩। হঠাৎ করে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

৪। চিকিৎসা নিতে দেরি হলে দিনে ১০ বারের ও বেশি মলত্যাগ করতে হয়।

৫। আক্রান্ত রোগীর পেটে ব্যথা করে, খিঁচুনি হতে পারে।

৬। রোগির শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং জ্বর হয়।

৭। প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে, পেট ফোলা ক্ষুধামান্দ্য।

আমশায় রোগ ভালো করতে কি কি খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠকগণ ইতিমধ্যে আমরা আমাশয় রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি। উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার আমাশয় রোগ হয়েছে। এখন আমরা অনুস্মারক ভালো করতে কি কি খাওয়া উচিত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাশয় রোগ ভালো করতে কি কি খাওয়া উচিত তা আলোচনা করা হলো।

থানকুনি

আমাশায় মানে আমাতিসার এবং জ্বর দুইটাই হয়েছে সাধারণত বাচ্চাদের  এটি বেশি দেখা যায়। থানকুনি পাতার রস গরম করে খাওয়াতে হবে।

আদা চা 

আদা একটি অলৌকিক মসলা, যা অনেক রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। আমাশা চিকিৎসার জন্য এটি অত্যন্ত উপকারিতা। গরম পানি ফুটিয়ে এক কাপ চায়ের ভিতর কুচি করে আদা দিয়ে দেন। এই আদা চা দিনে তিন চারবার পান করুন ।

ধনেপাতা এবং লেবু জল

লেবু একটি রোগ নির্ণয়ের জন্য কার্যকরী উপাদান। লেবু আমাশয় ভালো করার জন্য একটি অন্যতম উপাদান। বদহজম রোগ সারাতে ধনেপাতা অন্যতম উপাদান। 6 থেকে 7 টি ধনেপাতা পেস্ট করে একগ্লাস জলে গুলে নিন, এবং তার মধ্যে 3 থেকে 4 চা চামচ লেবুর রস দিন এবং পান করুন।

ক্যারাম বীজ

পেট খারাপের জন্য একটি অন্যতম বীজ ক্যারাম বীজ। পেট ফোলা বা ফাঁপা থাকলে কমাতে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে। 1 চা-চামচ কের‌্যাম বীজ একটি পাত্রে পানি দিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট ফুটিয়ে নিন এবং চা পান করুন।

ডালিম

আমাশা রোগের একটি কার্যকরী উপাদান ডালিম। এটি একটি দুর্দান্ত প্রতিকার। আমাশয় রোগের দূরত্ব ফলাফলের জন্য ডালিমের খোসা রস করে বা ডালিমের ফল খেতে পারেন। এছাড়াও ডালিমের পাতার রস করে খেতে পারেন। ডালিমের কিছু পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে, তারপর পাতিল থেকে নামিয়ে কিছুক্ষন রেখে পানিটা ছেঁকে হালকা গরম পানি টা খেয়ে নিতে হবে।

আদা এবং লবণ

কয়েক টুকরো আদা একটি পাত্রে নিয়ে পেস্ট করুন। তার থেকে 1 চা-চামচ রস নিয়ে, এক চিমটি লবণ দিন এবং মিশিয়ে পান করুন দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন।

শেষ কথাঃ আমশায় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

এটি যখন একজন সাধারন মানুষ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে তাহলে আপনি কিভাবে মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাবেন? এতক্ষণে সম্বন্ধে তাহলে নিশ্চয়ই জেনে নিয়েছেন। এই রোগটি কোন বয়সভেদে হয় না, বাচ্চারাও আমাশয় রোগে ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাশা রোগের চিকিৎসা ঠিক সময়ে না করার কারণে অনেকেই মৃত্যুর সম্মুক্ষিন হতে পারে এটা একধরনের ছোঁয়াচে রোগ।

অতএব আপনারা সাবধানে থাকবেন ঠিক সময়ে চিকিৎসা নেবেন। প্রিয় বন্ধুরা, আমি এতক্ষন আমাশয় ঘরোয়া চিকিৎসা যা বুঝেয়েছি। আশা করি আপনারা তা বুঝেছেন। এই পোস্টে আমি যা যা নির্দেশনা দিয়েছি, তা আপনাদের উপকারে আসবে। আশা করি আপনারা এই নির্দেশনা গুলো মেনে চলবেন। এমন নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের পেজটিতে চোখ রাখুন।

পূর্ববর্তী পোস্টটি দেখুন পরবর্তী পোস্টটি দেখুন
No Comment
আপনার মতামত লিখুন ।
comment url